• Hi Tech Polytechnic Institute - Slide
  • Hi Tech Polytechnic Institute - Slide
  • Hi Tech Polytechnic Institute - Slide
মেনু নির্বাচন করুন

প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো :


মাগুরা জেলাধীন মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের অন্তর্গত প্রত্যন্ত গ্রামীন পরিবেশে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বিলের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত খলিশা ফুলের নামানুসারে নামাঙ্কিত ঐতিহ্যবাহী গ্রাম খলিশাখালী ইছামতি বিলের হরেক রকম ফসল ও বৈচিত্রমন্ডিত মাছে এলাকার জনমানুষের আর্থিক অবস্থা মুটামুটি সচ্ছল । দু’বেলা মাছে ভাতে বাঙালী এ অবস্থা । অনেক দূরবর্তী প্রতিষ্ঠান হতে শিক্ষালাভ করে কিছু লোক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী গ্রহণ করেন । অনেকে আবার গ্রামে অবস্থান করেন । এরকম কিছু শিক্ষিত বেকার গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার কথা আলোচনা করতে থাকে। এ রকম এক পরিস্থিতে সামনে এগিয়ে আসেন গ্রামের সর্বজনগ্রহনযোগ্য এক শিক্ষিত যুবক মোঃ মমতাজউদ্দিন মোল্যা । তিনি তাঁর সহযোগিদের নিয়ে এলাকাবাসীর দ্বারে দ্বারে গিয়ে তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা চালান । সফল ও হন । মাগুরা কালিগঞ্জ সড়কের পাশে ১৯৫৭ সালে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন যা ১৯৬১ সালে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৬১ সালে পাঠদানের অনুমতি লাভ করে এবং ০১/০১/১৯৬৪ সালে খলিশাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি এবং ০১/০১/১৯৬৭ সালে খলিশাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে ১৯৬৯ সালে এস.এস.সি পরীক্ষায় সর্বপ্রথম অংশগ্রহণ করে ছত্রহাজারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাধ্যমে এবং সবাই দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন । মোঃ গিয়াসউদ্দিন চুন্নু মিয়া ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক । তবে সার্বিক দ্বায়-দ্বায়িত্ব বহন করেন মোঃ মমতাজউদ্দিন মোল্যা । তাঁর চিন্তা চেতনায় ত্যাগে মহিমান্বিত বিদ্যালয় যখন নিজ পায়ে দাড়ায় ১৯৬৯ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার আগেই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন এবং চিরকৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ করেন খলিশাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এযাবৎকালের সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকমন্ডলী ও এলাকাবাসী সবাইকে আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি । আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেস্তের সর্বোচ্চ মাকাম জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন । বর্তমান দায়িত্ব প্রাপ্ত সহ প্রতিষ্ঠা কাল হতে অদ্যাবধি ১৬ জন প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন । ভৌত ও অবকাঠামোগত জৌলুস না থাকলেও প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় বিদ্যালয়টি ভালো ফলাফল অর্জন করে এবং শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই দেশ বরেন্দ্র বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে । বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকমন্ডলী অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে বিদ্যালয় ফলাফল আরো ভালো করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং পাশাপাশি সহশিক্ষাক্রমিক কার্যবলী জোরদারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।